হাসান তানভীর এর MOTO-TRAVEL ব্লগ

Its better to travel well, then to arrive – Buddha

সেন্ট মার্টিন – (১ম পর্ব) -St. martin Island

অসাধারন একটি ট্যুর দিয়ে এলাম এবার।

গত শুক্রবার চলে গেলাম মোটরবাইক নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এ।

 

DSC03320

তোলা হইছে? ঘুরবো?

 

কক্স বাজার থেকে টেকনাফ এর রোড টা অসাধারন। প্রায় ১০০ কিলো। এক পাশে সাগর, অন্য পাশে পাহাড়।

DSC03087

টেকনাফ পৌঁছাতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। ওখানে রাত কাটিয়ে পরদিন শুনি অবরোধ। সেন্ট মার্টীন এ তাই কোন শিপ ছাড়বে না। ট্রলার ছাড়বে ৩ টায়। কি করা যায়? তাই নেচার পার্ক এ ট্র্যাকিং করে এলাম।

vlcsnap-2013-12-03-11h07m54s199

 

এখানে বনে হাতি সহ নানা বন্য প্রানি দেখা যায়। প্রচুর বানর দেখলাম গাছে। চুড়া থেকে অসাধারন লাগলো সাগরের ভিউ।

DSC03091

DSC03103

 

ফিরে এসে খাওয়া দাওয়া করে হোটেলে কথা বলে বাইক রাখার বেবস্থা করলাম। কারন সেন্ট মার্টিন দ্বিপ টা বেশি বড় না। নাহলে কেউ চাইলে বাইক নিয়ে যেতে পারবে ট্রলারে করে। আমি নেই নি, কারন দাগ টাগ পড়ে যেতে পারে। জাই হোক, ৩ টায় ছাড়ার কথা, ছাড়েনি। জোয়ারের পানি আসলে ছাড়বে। পরে ৫ টার দিকে ছাড়লো।   রওনা দিলাম। উত্তাল সাগরে ঢেউয়ে অনেক দোলে এই ট্রলার। থ্রিল থাকে।

এক সময় পৌঁছে গেলাম।

পৌছাতে পৌছাতে রাত প্রায় ৮ টা। ট্রলারের মাঝি দিক হারিয়ে ফেলেছিলো অন্ধকারে। সবাইকে বলল মোবাইলে আলো না জালতে। পরে আমি মেপ/জিপিএস দিকে তাকে নির্দেশনা দিতে থাকলাম। আরো আগে করা উচিত ছিলো। কারন প্রায় এক ঘণ্টা বেশি পথ আমরা সাগরে ছিলাম।

সেন্ট মার্টিন পৌঁছে মন ভালো হয়ে গেলো। একটা ছেলে নিজ থেকে জুটে গেলো। সে নিয়ে গেলো বিচের ধারে – হোটেল ঠিক করার জন্য। বলা বাহুল্য, ইলেক ট্রিসিটি নেই এই দ্বীপ এ। জেনারেটর দিয়ে সন্ধ্যার পর কিছুক্ষণ চলে। পরে হোটেল ঠিক করলাম বিচ এর ধারে। লাবিবা।

DSC03134

 

বিচ এ যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম বিচ আ শত শত লাল কাকড়া। গর্তে ঢুকে পড়ে। আর একপাশ জুড়ে নারকেল বাগান আর কেওয়া বনের সারি।

 

থাকার জন্য সমুদ্র পাড়ের রিসোর্ট/হোটেল গুলোর খরচ বেশী। অফ সিজনে ১০০০ আর সিজনে ৩ থেকে ৩৫০০/  তবে আপনি যদি এমনি শহরের (খুবি ছোট) ভেতরের গুলো অফ সিজনে ৩০০ দিয়ে পাবেন।

আমি প্রথম দিন ছিলাম লাবিবা তে ৮০০ দিয়ে। সাগরের একদম পাড়ে বলে দাম বেশী। পরদিন গাইডের হোটেলে উঠে যাই। ৩ জন ৩ বেড ৫০০ দিয়ে।

ফ্রেশ হয়ে আবার বাজার অংশে খেতে গিয়ে দারুচিনি দ্বীপ রেস্তোরাঁ টা আমরা প্রথম দিন খেয়েছিলাম দারুচিনি দ্বীপ হোটেল এ। রুবেল ভাই ও ভাবী যত্ন করে খাওয়ালেন। প্রথমে প্লেট এ করে তাজা মাছ গুলো দেখানো হলো। আমরা পছন্দ করার পর ওগুলো ফ্রাই করে দেয়া হলো। শখের বশে ওনারা এটা করেছেন। পরিচয় হয়ে গেলো বাবু ও জসিম ভাই এর সাথে। ২ জন ই বেশ জলি মনের।

ডীনার করে রোওনা দিলাম বিচ এর ধারে রাতের বেলা।

গাইডের কথায় ৩ জন প্ল্যান করলাম ছেড়া দ্বীপ এর। ট্র্যাকিং করে যাবো। তার কথা অনুযায়ী আসল মজা এখানেই।

আসল মজা” নিতে পরদিন ভোরে রওনা দিলাম ছেড়া দ্বীপ।

ছেঁড়া দ্বিপ দিয়ে আমার লিখাটি পড়ার জন্য ২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন। 

Join 248 other subscribers

Contact Info

Email: black_guiter@hotmail.com Skype: hassan.tanvir1
copyright @ hassantanvir.wordpress.com 2015